জুলাই ১৪, ২০১৯
কপিলমুনিতে বোর্ডে-বোর্ডে জুয়ার আসর : তৎপর নেই প্রশাসন
কপিলমুনি প্রতিনিধি: কপিলমুনিতে প্রায় প্রতিটি চায়ের দোকানে বোর্ডে-বোর্ডে জুয়ার আসর চলছে তো চলছেই। স্থানীয় প্রশাসন তৎপর না থাকায় দিন দিন ক্যারাম বোর্ডের জুয়ার আসর পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এসব জুয়ার আসরে স্কুল পড়–য়া শিক্ষার্থীসহ যুবকরা শরিক হচ্ছে। আবার ক্যারাম খেলার নেশায় দূর-দূরান্ত থেকে জুয়াড়িরা এসে অংশ গ্রহণ করতে দেখা যাচ্ছে। যার ফলে কপিলমুনি বাজারসহ আশপাশ এলাকায় চুরির প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ-ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকসহ এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সরেজমিনে কপিলমুনি বাজার ঘুরে দেখা যায়, অত্র বাজারের উত্তর প্রান্তে অবস্থিত নগরশ্রীরামপুর মোড় থেকে কাশিমনগর বাজার পর্যন্ত প্রায় শ’খানেক চায়ের দোকানে ক্যারাম বোর্ড রয়েছে। অনেক দোকানদার বেশি লাভের আশায় ৪ থেকে ৫টি ক্যারাম বোর্ড বসিয়ে নির্দ্বিধায় ক্যারাম বোর্ডের জুয়া চালিয়ে যাচ্ছে। স্কুল কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি কিশোর থেকে শুরু করে অর্ধ বয়সীরাও নিয়মিত এসব জুয়া আসরে অংশগ্রহণ করছে। ফলে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছে। এদিকে চৌরাঙ্গ-অঙ্গ বিশিষ্ট প্রতিটি হাতে গেমপ্রতি ৫০/১০০ টাকার বিভিন্ন রকম পণ্যের মাধ্যমে ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে ক্যারাম বোর্ডের জুয়া চালিয়ে যাচ্ছে তারা। আবার গোপনে নগদ অর্থে শত-শত টাকা বাজী রেখে তা খুইয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরছে অনেকে। আর তারা নিয়মিত এসব জুয়ার আসরে শরিক হওয়ার অর্থ জোগাড় করতে গিয়ে জড়িয়ে পড়ছে নানান আপরাধ মূলক কর্মকান্ডে। অবস্থাদৃষ্টে ক্যারাম বোর্ডের জুয়া যেন পুরো কপিলমুনি বাজারকে গ্রাস করে ফেলেছে। এব্যাপারে নাম প্রকাশ না করার স্বার্থে শিক্ষার্থীদের এক অভিভাবক বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ প্রকাশ্যে কপিলমুনির প্রায় প্রতিটি চায়ের দোকানে ক্যারাম বোর্ডের জুয়া চললেও স্থানীয় প্রশাসন কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনা কেনো তা আমার বোধগম্য নয়। তবে এই মূহুর্তে এসব জুয়ার আসর প্রতিহত করা না গেলে এলাকায় চুরি-ডাকাতি ছিনতাইয়ের মত অপরাধ প্রবণতা দিন দিন বৃদ্ধি পেতে পারে। পাশাপাশি যুব সমাজের অদূর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিতের দিকে ঝুঁকছে। সর্বশেষ এলাকাবাসী ও সচেতন মহল কপিলমুনিসহ আশপাশ এলাকা থেকে ক্যারাম বোর্ডের জুয়ার আসর বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট পুলিশ প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে মুঠোফোনে থানা পুলিশ প্রশাসনের কাছে জানতে চাইলে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান। 8,600,069 total views, 7,948 views today |
|
|
|